Aug 15, 2015


 কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয়, যা বলি তা-ই সয়। মানব শরীর বা দেহ যে আসলেই এক বিচিত্র ক্ষেত্র, এ সম্পর্কে কারও কোনো সন্দেহ নেই। কত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর কান্ডকারখানার তোড়জোড় যে মানবদেহের সর্বত্র সচল আছে, বলে বা লিখে তা শেষ করার মতো নয়। আমরা যে শরীর নিয়ে বেঁচে থাকি এবং যে শরীর নিয়ে আমাদের এ স্বল্প সময়ের পার্থিব জীবন উপভোগ করি- সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?  বিস্তারিত..

Aug 14, 2015



https://www.facebook.com/bablo.khan.520এখানে প্রচুর কোলাহল
এখানে ব্যথাদের ভীড়
এখানে কান্নারা আনে ঢল
এখানে ঘুমেরা পায়না নিবিড়।
                                                             
এখানে বিরক্তিরা করে পায়চারা
এখানে চিনচিনে ব্যথা; কইলজে ছেঁড়া,
এখানে ঘটে নিওরনের বিক্রিয়া
এখানে চলে উন্মাদনা; যতসব তার ছেঁড়া।
বিস্তারিত..,,

ম্যাজিক ভয়েচ

https://www.facebook.com/bablo.khan.520



এই বুঝি প্রথমবার হারিয়েছি পরদ্বার।
আমার ভেতর আমি অন্য খোঁয়ে মন কৌটা শূন্য ।

ষোড়শীর শুধান যাদুবিদ্ধ উক্তি
ডুবজলে মৌনধ্যান কাকতালীয় অনুপপত্তি।

একাকিত্ব মুহূর্তরা গততে বিলীন
শিকার লক্ষ্যে মাছরাঙ্গা ব্যস্ততাধীন।

স্মৃতিপটে মুগ্ধকর মায়াছল রূপ
উড্ডয়ন উদাসপক্ষি বায়ুঢল স্বরূপ।

বশিকরণের খোঁয়াড়বন্দি পোহাচ্ছি আঁয়েশ
ছিল সুবাদে ম্যাজিশনের ম্যাজিক ভয়েচ

Aug 12, 2015

কবিতাও এক প্রকার ধাঁধা


ধাঁধার রহস্য বের করতে হলে আপনাকে ভাবতে হয়। অনেক সময় অনেক দীর্ঘ সময় নিয়ে ভাবতে হয়। ভাবতে ভাবতে একটা সময় রহস্য মিলে যায়। এবং মজাটা পাওয়া যায় তার পরেই।

আপনি একটি কবিতা পড়লেন। মনযোগ
দিয়ে পড়লেননা অথবা অনেক শব্দের অর্থ বুঝলেননা। পড়েছেনও খবর পড়ার মত করে অথবা বিরক্তি/অলসতা ভাব নিয়ে।
আবার ধরুন, আপনি ইংরেজী লেখা দেখে দেখে রিডিং পড়তে পারেন অথচ অনুবাদ বা অর্থ করতে/বুঝতে পারেননা।
তাহলে কি হবে??

-ঘোড়ার ডিম হবে।

এ পড়ার কোন দাম নেই। মজা নেই। গভীরতা নেই।
যেমন কোন বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত লেখা পড়েও অাপনার অনুভুতি হবে-

"ধুর! পোয়ার মুত পাইন্যা পাইন্যা লার"

কেননা,আপনি কোন খাবার মুখে নিয়েই 'থু' মেরে ফেলে দিলেন, গিললেননা।আপনি খাবারটার স্বাদ পাবেননা। তৃপ্তি পাবেননা। তৃপ্তির জন্য খাবারটা চিবুতে হবে। খাবারটা গিলতে হবে। তবেই পাবেন আরাম, আর গভীর থেকে আসবে একটা তৃপ্তির ঢেকুর।

আপনি হয়তো এটা জানেননা কবিতার মধ্যে অনেক গভীরতা আছে।গভীরে অনেক তৃপ্তি আছে। দ্রুততর পড়ার কারনে আপনি সে গভীরে যেতে পারেননি। তৃপ্তি নিতে পারেননি।বিরক্তিবোধ করলেন।

আরে ভাই, দুনিয়ার সব মজাইতো গভীরতার মধ্যেই।

"যাও আরো গভীরে যাও,যেতেই থাকো"

হ্যা! তৃপ্তি পেতে হলে গভীরে যেতে হবে। অর্থ বুঝে কবিতা পড়তে হবে। ভাবতে হবে।ধাঁধার মত রহস্য বের করতে হবে। তাহলেই পাবেন সেইরকম স্বাদ এবং হয়ে যাবেনআপনিও একজন কবিতা পোকা

পৃথিবীর পরে




জানালার ফাঁকে দেখা আকাশ হাঁকে
লালচে বর্ণ যেন মেঘ স্বর্ণ
আযান স্বরে মুয়াজ্জ্বিন ডাকে
সালাত কায়েম কর ইমান পূর্ণ।

সাদা-কালো লোচনে দেখছো যে লাল নীল রঙিন
প্রদীপ নিভিলেই শুধু কালো মলিন বর্ণহীন।
যে বিলাসিতায় গড়িয়াছো দালান কোঠা ঘর
সবি ছাড়িয়া রহিবে অন্ধকার ভয়ঙ্কর কবর।

কে আর রহিবে পৃথিবীর পরে তোমার সঙ্গ দানে?
কেহ কারো নয় ছুটিবে সবে বাঁচিতে আপন প্রাণে।
আপন সন্তান মাতা-পিতা তাহারাও চিনিবেনা
কঠিন হাশরে এতটুকু ছায়া মিলিবেনা,নাহ! কেহ অাপন না।

পাপ-পুণ্য যা জমায়াছো আমলনামার খাতায়
পুণ্য জ্বলিবে শ্বেতকায় আর পাপ পুড়িবে কৃষ্ণকায়।

মীযানে হিসাব কষিতে পার হইতে পুলসিরাতের পুলে
ঊনতা অভাব মিলিবেনা হিসাব সবই গোলমেলে।
দুনিয়ার অনল নহে নরকের অনল,ছাই তাপে পতিত হইবার পর
কেমনে থাকিবে সেথায় যেথায় গোটা বছর সম অর্ধশত সহস্র বছর।

কাঁদিবে; ঝরায়ে জল করিয়া চিৎকার বলিয়া হায় হায়
"পেয়েছিনু সময় লাগাইনিতো কামে কুকামে কাটিয়াছি দুনিয়ায়"

-ওগো প্রভু দয়াময় মেহেরবান করুণার মহাসাগর
তোমার পথেই রাখিওআর চোখে চোখে,করিওনাগো কবু অগোচর।

..............................
১৯-৫-২০১৪ ইংরেজী.